![সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার বিচার দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডিআরইউ’র স্মারকলিপি](https://www.dru.com.bd/uploads/shares/Photo-_09-02-2023-2023-02-09-19-52-17.jpeg)
ডিআরইউ/০২৫৬/২০২৩(০২) তারিখ: ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলা দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু তদন্ত শেষে প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে ডিআরইউ।
আজ বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেন সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। এসময় ডিআরইউ’র দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, ডিআরইউ’র সাবেক দপ্তর সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুম, সাবেক প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মোতাহার হোসেনসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ডিআরইউর স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু যেন তারা জানান, সেই নির্দেশনা তাদের দেওয়া হবে। আমরা চেষ্টা করছি, রহস্য উদঘাটনের। সাংবাদিক নেতাদেরও বলেছি, আপনাদের কাছেও যদি কোনো তথ্য থাকে, সেগুলো আমাদের জানালে আমরা সেটিও দেখবো।’
তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনী হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারবো না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবো। চেষ্টা করছি, অনেক বছর তো হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। উদীয়মান দুই সাংবাদিক, যাদের অনেক প্রতিভা ছিল, তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। তারা আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছেন। আমরাও চাই কেন এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটি উদঘাটন করতে।’
এদিকে, মন্ত্রীকে দেওয়া ডিআরইউ-এর স্মারকলিপিতে বলা হয়, ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনী হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনো শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় তাদের শিশুসন্তানের সামনে নির্মমভাবে খুন হন এ সাংবাদিক দম্পতি।
‘তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনো ধরনের অগ্রগতি নেই। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে ৯৫ বার সময় নেওয়া হয়েছে। বিচার না পেয়ে সাগর-রুনীর পরিবারে ও গোটা সাংবাদিক সমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিছুদিন আগে পরলোকগমন করেছেন মেহেরুন রুনীর মা নুরুন্নাহার মির্জা। এখনো বিচারের আশা ছাড়েননি সাগর সরওয়ারের বয়োবৃদ্ধ মা সালেহা মুনির এবং এ দম্পতির একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।’
এতে আরও বলা হয়, ‘যে কোনো হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সেই অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনী হত্যার কোনো কূলকিনারা তারা করতে পারবেন না- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে সাগর-রুনী হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এ হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ দাবি থেকে সরে যাবে না।’
বার্তা প্রেরক-
কাওসার আজম
দপ্তর সম্পাদক
মোবাঃ ০১৯১৫৫৫৫৯৫৬