ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের ক্রাইম রিপোর্টার ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ।
আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান (মিজান রহমান) এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, 'শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে অফিস শেষে রাজধানী ঢাকা থেকে সাভারের বাসায় ফিরছিলাম। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বাসার কাছে অন্ধকার গলিতে পৌঁছালে পেছন থেকে একজন নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে দাঁড়ানোর পর মাস্ক পরা দুই যুবক স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তা না হলে সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় তারা। এক পর্যায়ে পেছন থেকে একজন মরিচের গুড়ার মতো এক প্রকার ঝাঁঝালো পাউডার (কেমিকেল) আমার মাথায় ও চোখেমুখে ছিটিয়ে দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঝাঁঝালো পাউডারটি ছিটিয়ে দেওয়ার পর চোখেমুখে ও শরীরে প্রচন্ড জ্বালাপোড়া শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আশ্চর্যের বিষয় হলো হামলাকারীরা সাভারের যেই দু'জন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি দিয়েছে তাদের কারো সাথে আমার পরিচয়টুকুও নেই।' মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে স্থানীয় দু'জন জনপ্রতিনিধির নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। "তারা তাকে দুজন রাজনৈতিক লিডারের নাম বলে হুমকিও দিয়ে গেছে।"
ফরিদ বলেন, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ ওই দুই দূর্বৃত্তকে গ্রেফতার করলেই মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
বিবৃতিতে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।