ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি‘র (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য, বিএফইউজে’র সভাপতি ও দৈনিক সংগ্রামের চিফ রিপোর্টার রুহুল আমিন গাজী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় তার। দীর্ঘদিন যাবত তিনি কিডনী ও লিভারসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ মেয়ে আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাযা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ’র সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এর নেতৃত্বে রুহুল আমিন গাজীর কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।
এসময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো: জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) ও কল্যাণ সম্পাদক মো: তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, রফিক মৃধা ও মো. শরীফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও ডিআরইউ বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল আলম চৌধুরী (খোকন)সহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ নভেম্বর চাঁদপুর সদরের গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী কফিল উদ্দিন, মাতা আয়েশা খাতুন। সাংবাদিকদের র্শীষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র ৪র্থ বারের মতো সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজে’র মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজ চাঁদপুরের গুবিন্দিয়া গ্রামে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।