ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সদস্যদের সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি দিতে প্রতিবারের মত এবারেও ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার ও লেখক সম্মাননার আয়েজন করা হয়েছে। এ বছর ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৩ জন। কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (কালের কন্ঠ) মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে জাকির হোসেন (কালবেলা) ও কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) আহমেদ আল আমীন (বাংলাদেশ প্রতিদিন)। ‘ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪’ বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়াও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন আরও ২৩ সাংবাদিক।
হাসান হাফিজ কাব্য (কবিতা/ছড়া) ‘অনন্ত ক্ষমার চিতাকাঠ’, জাকির হোসেন মমনশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) বিশ্বকে চমকে দেওয়া আলোকচিত্র ও অন্যান্য গল্প’র জন্য, এবং এম মামুন হোসেন তার ‘আদি অন্তে ঢাকা’ গ্রন্থের জন্য বিজয়ী হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে দৈনিক মানবজমিন এর সম্পাদক কথা সাহিত্যিক মাহবুবা চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ এবং সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী বলেন, লেখক সাহিত্যিক আমাদের সমাজের দর্পন। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ভুল-ত্রুটি, ভালো-মন্দ ,অসংঙ্গতি সবকিছু তুলে ধরতে পারে । নিরেট আনন্দ দিতে পারে পারে । নিরানন্দ জীবনে একটা ভালো গল্প ,একটা ভালো কবিতা ও প্রবন্ধ অনেক বেশী উপকারে আসতে পারে মানুষের জীবনে। তিনি আরো বলেন, যে কোন মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি চায়। তবে লেখক হোক, গায়ক হোক বা অভিনয় শিল্পী হোক সে কিন্তু পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করে না। কিন্তু কাজ করতে করতে যখন সে পুরস্কার পায়, কাজের স্বীকৃতি পায় তখন তার কাজের স্পৃহা আরো বেড়ে যায়, দায়িত্ব আরো বেড়ে যায়। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে আগের চাইতে তারা আরো ভালো কিছু আমাদের প্রত্যাশা দিবেন লেখক সাহিত্যিকদের পুরস্কৃত করার জন্য ডিআরইউকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন বলেন, এ সাহিত্য পুরস্কার ডিআরইউ সদস্যদের মননশীলতা বিকাশে সহায়ক হবে এবং ডিআরইউতে সাহিত্য চর্চা আরও বেগবান করবে।
ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো: জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন , কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও শরিফুল ইসলাম।
কথা সাহিত্য (গল্প/উপন্যাস): এহসানুল হক জসীম (বরাক পারের বয়ান), জীবন ইসলাম (পূর্ণিমায় সেন্টমার্টিন), প্রণব মজুমদার (বিড়াল কাণ্ড), সিরাজুল ইসলাম কাদির (সবুজ ভালোবাসা), আবু আলী (প্যারিস থেকে হামবুর্গ), মুহম্মদ মোফাজ্জল (চাষাভুষার সন্তান) কাওসার রহমান (সিঁদুর) ও কানাই চক্রবর্ত্তী (ইতিহাসে নেই) ।
কাব্য (কবিতা/ছড়া): শেখ এনামুল হক (চলো ফিরে যাই অরণ্যে), চপল বাশার (নির্বাচিত কবিতা), মাইদুর রহমান রুবেল (প্রেমের কবিতা সংকলন) ও উমর ফারুক (দ্রোহের উপধারা)।
মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আসিফ হাসান (হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা (রেখার মাঝে), মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর (Dhaka : A City Plagued by problems), মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল (যাপিত জীবনের গল্প ), সিদ্দিকুর রহমান খান (কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা), আমিরুল মোমেনীন মানিক( নিষিদ্ধ গান বিশুদ্ধ বাদ্য), মিজান রহমান (বরিশালে ৭৩০ দিন) কুদরাত-ই-খোদা (সিভিল সার্ভিসের ভিতর বাহির), মোস্তফা কামাল মজুমদার (Thorny Path of Jounalism) ও শাহেদ মতিউর রহমান( আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কারিকুলাম) ।