ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও এনটিভির বার্তা সম্পাদক সীমান্ত খোকনের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ডিআরইউ।
আজ বুধবার (০২ অক্টোবর) বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে নামাজে জানাযা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এর নেতৃত্বে সীমান্ত খোকনের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।
এসময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃধা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, মুরসালিন নোমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, মাইনুল হাসান সোহেলসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইলের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ মাগরিব নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
সীমান্ত খোকনের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৭৩ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় জন্ম নেওয়া সীমান্ত খোকন ছিলেন পুরোদস্তুর সাংবাদিক। মানবজমিনে বিনোদন সাংবাদিকতা দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পথচলা শুরু করা সীমান্ত খোকন টেলিভিশন সাংবাদিকতায় আরটিভির পর ২০১০ সাল থেকে এনটিভি পরিবারের সাথে পথ চলেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ছিলেন সীমান্ত খোকন। ছিলেন চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সহ সভাপতি।