৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতীয় মিডিয়া সর্বৈব মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। যা ফ্যাক্টচেকিং ও রিউমার স্ক্যানিংয়ে প্রমাণিত হয়েছে। এসব অপতথ্য ও উস্কানিমূলক প্রচারে দেশের ইমেজ ক্ষুন্ন করছে এবং বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থান এবং পরিবর্তীত পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম অসত্য ও উস্কানিমূলক প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এতে বাংলাদেশের আবহমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঝুঁকিতে ফেলার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশী সনাতনী দম্পত্তির পাসপোর্ট আটকে জিম্মি করে তাদেরকে বাংলাদেশে নির্যাতন করা হয়েছে বলে জোরপূর্বক বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া প্রচার করেছে। যা আদৌ সত্য নয়।
ডিআরইউ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের "আইনজীবি রমেন রায় আহত হয়ে আইসিউতে চিকিৎসাধীন", এমন সংবাদ ভারতীয় মিডিয়া প্রচার করেছে। অথচ চট্টগ্রাম আইজীবি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছেন যে, রমেন রায় নামে চট্টগ্রাম বারে কোনো আইনজীবি নেই।
সুতরাং ডিআরইউ মনে করে বৈশ্বিক সমাজে আমরা সকলেই পরস্পরের সাথে সম্পৃক্ত। বৈশ্বিক শান্তির জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।